১। কাশিমপুর এতিমখানা
২। সরসকাটি গাংগুলিয়া এতিমখানা
সলামিষ্টদের মনস্ত্বত্ত পর্যালোচনা-১
২য় বিশ্ব যুদ্ধ শেষের কয়েক দশক পর্যন্ত মানুষ মনে করতো দুনিয়ার শক্তিশালী অন্ত্র হচ্ছে “পারমানবিক বোমা”। ৮০ দশকের শুরুতে স্যাটিলাইট চ্যানেলের আগমন ও ৯০ দশকে প্রথম দিকে ইন্টারনেটের আগমনে সেই ধারনার পরিবর্তন হয়। শক্তিশালী অস্ত্র “পারমানবিক বোমা”র স্থান দখল করে “মিডিয়া অস্ত্র”।
অন্যরা এটা বা বুঝলেও এটা হাড়ে হাড়ে নাকি বুকে ইসলামিষ্টরা। মিশরে থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত নাকি সব ইসলামিষ্টরাই এক বাক্যে বুঝে মিডিয়া কি জিনিস!
আসলে কি তাই?
রমজানের শুরুর আগে থেকে বেশ কিছু মেইল পাই। বড় বড় ইয়াতিম খানা, মসজিদ মাদ্রাসায় দান করার ফজিলত বয়ান করে যাকাত দেয়ার আহবান।
কেউ কোন দিন মিডিয়ায় যাকাত চেয়ে মেইল দেয় নাই। এবার একটা পেয়েছি।
ঠিকই আছে। ইয়াতিম খানায় (এটার দরকার নাই এমন কিন্তু বলছি না) দান করলে জান্নাত ফ্রি, ফজিলত অটেল। মিডিয়ায় দান করলে তো সেটা পাওয়া যায় না!
হুম, ভাবলাম তোমরা ইয়াতিমখানা বানাও। আর মিডিয়া দিয়ে ওরা একটার পর দেশ ফকির বানিয়ে, ধবংস করে লক্ষ লক্ষ ইয়াতিম তৈরী করুক। আমরা সওয়াবের আশায় ইয়াতিম পালনের জন্য রেডি থাকি, আর ওরা “মিডিয়া অস্ত্র” নিয়ে আমাদের ইয়াতিম বানিয়ে যাক।
এক সময়ের সমৃদ্ধ দেশ ইরাকের কথাই ধরা যাক। সারাবিশ্বে কত দারিদ্র মানুষেরাই না সাহায্য করতো তারা, আর আজ? নিজেরাই মিসকিন, লক্ষ লক্ষ ইয়াতিম।
আপনি ইয়াতিম বানানোর কারখানা বন্ধ করতে সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করবেন, নাকি দুই চারটা ইয়াতিম খানা খুলে অঢেল সওয়াব হাসিল করবেন।
সিদ্ধান্ত আপনার!
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস